শবে বরাত পালন করা সুন্নাত না বিদআত
আসসালামু আলাইকুম
এখন আরবী শাবান মাস, শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে কিয়াম করা (নফল নামায পড়া) এবং পরের দিন ছিয়াম পালন করা বিদআত। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এই রাতের নফল নামায এবং দিনের বেলা রোযা রাখার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীছ পাওয়া যায়না। এরাতকে আমাদের দেশের পরিভাষায় শবে বরাত বলা হয়ে থাকে। এরাত সম্পর্কে মানুষের বিদআতী ধারণা এবং এরাতে মানুষ যেসমস- বিদআতী আমল করে তার বি স্তারিত বিবরণ প্রয়োজন। নিম্মে তার কিছু বিবরণ পেশ করা হলঃ
শবে বরাতে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে ধারণাঃ
শবে বরাত পালনকারীদের বক্তব্য হল, শবে বরাতের রাতেই কুরআন নাযিল হয়েছে। সূরা দুখানের ৩নং আয়াতকে তারা দলীল হিসাবে পেশ করে থাকে। আল্লাহ বলেন,
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِىْ لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ
অর্থঃ আমি কুরআনুল কারীমকে একটি বরকতপূর্ণ রাতে অবতীর্ণ করেছি। এবরকতপূর্ণ রাতই হল শবে বরাতের রাত। কতিপয় আলেম এভাবেই অত্র আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন।
তাদের এব্যাখ্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এখানে বরকতপূর্ণ রাত বলতে লাইলাতুল ক্বদর উদ্দেশ্য। আল্লামা ইবনে কাছীর (রঃ) বলেন, অত্র বরকতপূর্ণ রাতই হল লাইলাতুল ক্বদর বা ক্বদরের রাত। যেমন অন্যত্র সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে। কুরআনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কথা হল, কুরআনের কোন অস্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা যদি অন্য কোন আয়াতে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়, তাহলে কুরআনের ব্যাখ্যাই গ্রহণ করতে হবে। আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহ সূরা কদরের শুরুতে বলেন,
إِنَّ أَنْزَلْنَاهُ فِى لَيْلَةِ الْقَدْرِ
অর্থঃ আমি কুরআনকে ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা কদরঃ ১) আর এ কথা সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত যে, লাইলাতুল ক্বদর রামাযান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে নয়। এমনিভাবে আল্লাহ তায়া’লা রামাযান মাসে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে সূরা বাকারায় বলেন,
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِى أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْآنُ
অর্থঃ রামাযান মাস এমন একটি মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা বাকারাঃ ১৮৫) সুতরাং শবে বরাতে কুরআন নাযিল হওয়ার কথা গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
শবে বরাতের রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার ধারণাঃ
শবে বরাতসহ অন্যান্য বিদআতী ইবাদতের পক্ষের আলেমগণ বলে থাকে, এরাতের শেষের দিকে আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং সকল মানুষকে ক্ষমা প্রার্থনার আদেশ দেন। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ক্বলব গোত্রের বকরীগুলোর লোম সংখ্যার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ ক্ষমা করে থাকেন।
উপরোক্ত অর্থ বহনকারী হাদীছটি কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সকল বর্ণনাই যঈফ বা দূর্বল। নির্দিষ্টভাবে এরাতে আল্লাহর দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা চাওয়ার প্রতি আহবান জানানোর হাদীছটি সুনানে ইবনে মাজায় জাল সনদে বর্ণিত হয়েছে। হাদীছের সনদে ইবনে আবু সাব্রাহ্ নামে একজন জাল হাদীছ বর্ণনাকারী রাবী রয়েছে। তাছাড়া হাদীছটি বুখারী সহ অন্যান্য হাদীছ গ্রনে’ বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। সহীহ হাদীছের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তায়া’লা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি ক্ষমা করে দিব। অমুক আছে কি? অমুক আছে কি? এভাবে প্রতি রাতেই ঘোষণা করতে থাকেন। সুতরাং জাল হাদীছের উপর ভিত্তি করতঃ সহীহ হাদীছের মর্ম প্রত্যাখ্যান করে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ্ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার আকীদা পোষণ করা এবং সে রাতে বিশেষ ইবাদত করার কোন বৈধতা নেই।
মৃত ব্যক্তির রূহ দুনিয়াতে আগমণের বিশ্বাসঃ
শবে বরাত পালনের পিছনে যুক্তি হল, এরাতে মানুষের মৃত আত্মীয়দের রূহসমূহ দুনিয়াতে আগমণ করে স্ব স্ব আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাৎ করে। এটি একটি অবান্তর ধারণা, যা কুরআন্তসুন্নার সুস্পষ্ট বিরোধী। আল্লাহ তায়া’লা বলেন,
) وَ مِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ إِلَى يَوْمٍ يُبْعَثُوْنَ (
অর্থঃ ওদের (মৃতদের) পিছনে রয়েছে অন্তরায়, তারা সেখানে কিয়ামত দিবস অবদি অবস্থান করবে। (সূরা মুমেনূনঃ ১০০)
এরাত্রে মানুষের ভাগ্য লিখা হয় বলে ধারণাঃ
তাদের এধারণাটিও ঠিক নয়। এ কথার পিছনে কুরআন হাদীছের কোন দলীল নেই। সহীহ হাদীছে রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
)كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلَائِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ(
অর্থঃ আকাশ-জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তায়া’লা স্বীয় মাখলুকের তাকদীর লিখে রেখেছেন।
হালুওয়া রুটির রহস্যঃ
তাদের বক্তব্য হচ্ছে শবে বরাতের দিন ওহুদ যুদ্ধে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দাঁত মোবারক শহীদ হয়েছিল। তাই নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শক্ত খাবার খেতে না পারায় নরম খাদ্য হিসাবে হালুওয়া-রুটি খেয়েছিলেন। তাই আমরাও নবীর দাঁত ভাঙ্গার ব্যথায় সমবেদনা প্রকাশ করে হালুওয়া-রুটি খেয়ে থাকি। এটি একটি কাল্পনিক কথা। কারণ ওহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে, শাবান মাসে নয়।
এ রাতে কবর যিয়ারতের পিছনে যুক্তি ও তা খন্ডনঃ
এরাতে রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাকী কবরস্থান যিয়ারত করেছেন। তাই আমাদেরকেও এরাতে কবর যিয়ারত করতে হবে। এমর্মে ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। হাদীছের সনদে হাজ্জাজ ইবনে আরত্বাত নামক একজন যঈফ রাবী রয়েছে। ইমাম বুখারী সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন।
একশত রাকাত নামাযের ভিত্তি খন্ডনঃ
এরাতে একশত রাকাত নামাযের ব্যাপারে যত হাদীছ রয়েছে, তার সবই জাল বা বানোওয়াট। এ নামায সম্পর্কে রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন হাদীছ প্রমাণিত নেই। একশত রাকাত নামায পড়ার বিদআতটি ৪৪৮ হিজরীতে সর্বপ্রথম জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদে প্রবর্তিত হয়। মসজিদের ইমামগণ অন্যান্য নামাযের ন্যায় এ নামাযও চালু করে দেয়।
শবে বরাতের রোযাঃ
শবে বরাতের রোযা রাখার প্রমাণ স্বরূপ দু’টি হাদীছ পেশ করা হয়ে থাকে। প্রথম হাদীছঃ শাবান মাসের মধ্যরাত এলে তোমরা রাতে কিয়াম কর এবং দিনে ছিয়াম পালন কর। এই হাদীছের সনদে ইবনে আবু সাব্রাহ নামক একজন জাল হাদীছ রচনাকারী রাবী থাকার কারণে হাদীছটি গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয় হাদীছঃ ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) বলেন, একবার রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক ব্যক্তিকে বললেন, তুমি কি সিরারে শাবানের রোযা রেখেছ? লোকটি বলল না। অতপর নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযানের পরে রোযা দু’টি কাযা আদায় করতে বললেন।
অধিকাংশ আলেমদের মতে সিরার অর্থ মাসের শেষ। উক্ত ব্যক্তি শাবানের শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত রোযা পালনে অভ্যস- ছিল অথবা এটা তার মানতের রোযা ছিল। রামাযানের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ভয়ে সে রোযা রাখা ছেড়ে দিয়েছিল। কারণ শাবান মাসের শেষের দিকে রামাযানের রোযার সাথে মিশিয়ে রোযা রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে রোযা দু’টি কাযা আদায় করতে বলেছিলেন।
প্রিয় পাঠক মন্ডলী! শবে বরাতের পিছনে এত আয়োজন, যার জন্য সরকারী ছুটি পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা এর পিছনে ব্যয় করা হয়ে থাকে। অথচ এর পিছনে কোন ভিত্তি নেই। মুসলিম জাতির উচিৎ এবিদআত থেকে বিরত থাকা। পরিতাপের বিষয় এই যে, অনেকেই এবিদআতকে বিদআতে হাসানাহ বলে থাকে। আসলে বিদআতে হাসানাহ বলতে কিছু নেই। ইসলামের নামে তৈরীকৃত সকল বিদআতই মন্দ, হাসানাহ বা ভাল বিদআত নামে কোন বিদআতের অসি-ত্ব নেই। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
)كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٍ وَ كُلُّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ(
অর্থঃ প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা আর সমস- ভ্রষ্টতার পরিণাম হল জাহান্নাম। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, “সমস- বিদআতই ভ্রষ্টতা যদিও মানুষ তাকে উত্তম বলে থাকে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শবে বরাতের এ আয়োজন শুধুমাত্র বাংলাদেশ, ভারত, পাকি স্তানসহ অনারব দেশসমূহেই দেখা যায়। আরব দেশসমূহে এর তৎপরতা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে ইসলামের প্রাণ কেন্দ্র সৌদি আরবে শবে বরাতের কোন অসি-ত্বই দেখা যায়না। মক্কা-মদীনার সম্মানিত ইমামগণের কেউ কোন দিন শবে বরাত উদ্যাপন করার প্রতি জনগণকে উৎসাহিত করেন না। কারণ তারা ভাল করেই জানেন যে ইহা দ্বীনের কোন অংশ নয়। বরং তা একটি নব আবিষকৃত বিদআত। এজন্যই তাঁরা শবে বরাতসহ অন্যান্য সকল বিদআত থেকে মুসলিম জাতিকে সতর্ক করে থাকেন এবং তাদের সকল জুমআর খুৎবা ও অন্যান্য আলোচনা ও ভাষণে বিনা শর্তে কুরআন ও সুন্নার অনুসরণের আহবান জানান।
ধন্যবাদ সবাইক
তথ্য সূত্র-
বিদআত থেকে সাবধান
মূল-শাইখ সালেহ বিন ফাওযান আল- ফাওযান
পৃষ্ঠা নং-57 থেকে 64
"""শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে কিয়াম করা (নফল নামায পড়া) এবং পরের দিন ছিয়াম পালন করা বিদআত।""
আপনার এই লেখায় আমি একমত হতে পারছিনা।বাংলাদেশ এ অনেক বড় বড় আলেম,ইমাম,মুফতি এবং বড় বড় কোরআন ও হাদীস গবেষক আছেন।যারা সত্যকার মুমীন ব্যাক্তি।তারা আজ পর্যন্ত এ ব্যাপআর এ নিষেধ করলোনা।আর আপনি কেন এসব বলে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন?নিচে আমি কিছু বক্তব্য পেশ করলাম।
আপনার লেখা দেখে আমি মোক্সুদুল মোমেনিন নামের হাদীস বের করলাম।এর পর শবে বারাত এর অধ্যায় বের করলাম।মজার বেপার হলো যত গুলো হাদীস রয়েছে তার পক্ষে কোনো রেফারেন্স নেই।শুধু বলা হয়েছে""হাদীস এ আছে""।
আপনার লেখা নিয়ে আমার কিছু মতামত।ঃ
মৃত ব্যক্তির রূহ দুনিয়াতে আগমণের বিশ্বাসঃ পুরাই ফালতু একটা কাহিনি।
এরাত্রে মানুষের ভাগ্য লিখা হয় বলে ধারণাঃএ ব্যাপআর এ আমি কিছু বলতে চাইনা।এ ব্যাপার এ আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
হালুওয়া রুটির রহস্যঃএটার প্রধান উদ্দ্যেশ্য ছিলো গরীব দুঃখিদের কে অই দিন ভালো কিছু খাওয়ানো।কিন্তু মানুষ এটা না করে নিজেদের মধ্যে কে কত বড় কুমির আর মাছ দিতে পারে তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।হায়রে বাঙ্গালি।
একশত রাকাত নামাযের ভিত্তি খন্ডনঃএটার কোনই ভিত্তি নাই।
শবে বরাতের রোযাঃএ রাতের জন্য স্পেশাল কোনো রোযা নাই।কিন্তু আপনি নফল রোযা রাখতে পারেন।সেটা তে কোনো বাধা নাই।কারন নফল রোযা সারা বছর ই রাখা যায়।
শবে বরাতে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে ধারণাঃএ রাত এ কোরআন নাযীল হয়নি।কিন্তু এ রাত এ কোরআন এর পুরো অংশ আল্লাহর কাছ থেকে লাওহে মাহফুয এ আনা হয়েছিলো।এবং সেটা লাইলাতুল ক্বদর এর রাত এ অবতীর্ন করা হয়।
আমি প্রতি বছর আজিমপুর কবরস্থান এ আব্বুর কবর জিয়ারত করতে যাই।যেয়ে যা দেখি সেটা দেখলে রাগ এ মাথা গরম হয়ে যায়।কবর কে ফুল দিয়ে এমন ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে যে দেখলে মনে হয় বিয়ের গাড়ি।আমরা জানি যে এসব বেদায়াত।কিন্তু তারপরেও মানুষ এসব করে।
সব চেয়ে বড় সমস্যাঃ এ দিন পুরো দেশেই প্রায় সব খাবার এর দোকান এ মাছ,কুমির এর রুটি পাওয়া যায়।যেখানে ইসলাম এ কোনো প্রকার প্রানীর প্রতিকৃতি বানানো সম্পুর্ন নিষেধ,সেখানে এসব বানানো হচ্ছে এবং মানুষ এসব দেদারসে গ্রহন করছে।যারা এসব বানাচ্ছে তারা নিজেরাও গুনাহগার হচ্ছে আর যারা কিনছেন তারাও গুনাহ করছেন।
এবং কিছু ছেলেপেলে ভ্যান ভাড়া করে চেহারায় চমকি মেখে সারারাত মজা করছে আর মাজারে মাজারে বেদায়াতি কাজ করছে।নাউযুবিল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেদায়াত করুন।আমীন।
No comments:
Post a Comment